অনেক দিন থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বলে আসছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ ‘হিরো আলম’। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে ‘হিরো আলম’। সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধিন জাতীয় পার্টির ‘লাঙ্গল’ মার্কার প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।
নির্বাচনকে ঘিরেই আবারো হঠাৎ করেই আলোচনায় হিরো আলম। সোমবার তার হাতে মনোনয়ন ফরম তুলে দেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা।
তিনি ছাড়াও এই আসনে মনোনয়ন নিয়েছেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজ্বী নূরুল আমীন বাচ্চু, যুব সংহতির বগুড়া জেলা কমিটির সভাপতি শাহীন মোস্তফা কামাল ফারুক।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) সংসদীয় আসনে ‘লাঙ্গল’ মার্কা নিয়েই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন হিরো আলম। এই খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ভাইরাল হয়। হিরো আলম একাদশ সংসদ নির্বাচনে তরুণ ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবেন বলে দাবি করছেন তার ভক্তরাা।
হিরো আলম বলেন, ‘প্রথম দিকে বগুড়া-৬ সদর আসনে নির্বাচন করার কথা বলেছিলাম। বগুড়া-৪ আসনে আমার গ্রহন যোগ্যতা বেশী। যে কারণে সেখান থেকেই নির্বাচন করব। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ভালো লাগে। জাতীয় পার্টি মানুষকে কথা দিলে, রাখে। এজন্য লাঙ্গলের প্রার্থী হতে চাই আমি।’
তিনি আরো বলেন, ‘সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও আমার জনপ্রিয়তা দিয়েই এমপি হবো। আগেও বলেছি এখনো বলছি, চেহারা দেখে মানুষের বিচার করা যায় না। প্রতিভা আর ইচ্ছা শক্তিই সবকিছু। দুইবার নিজ এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। আমি মনে করি, এটা আমার বিজয়। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবাসে তার প্রমাণ পেয়েছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনেও ভোটারদের ভালোবাসার প্রতিফলন ঘটাবে এবং আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আমার বিশ্বাস।’
প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আকস্মিকভাবে আলোচনায় উঠে আসেন হিরো আলম। এরপর বগুড়া থেকে ঢাকায় এসে একের পর মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন। 'মার ছক্কা' নামের একটি চলচিত্রেও অভিনয়ের সুযোগ পান তিনি। সবকিছুকে ছাড়িয়ে বলিউডে ডানা মেলেছেন আলোচিত এই তারক